শঙ্খ একটি সামুদ্রিক প্রাণী ৷ বেদে এর উল্লেখ আছে ৷ হিন্দুশাস্ত্রে শাঁখ বিষ্ণুর প্রতীক ৷ বিশ্বাস করা হয়, শাঁখের শব্দ সবরকম নেতিবাচক শক্তিকে নষ্ট করতে পারে ৷ হিন্দু পুরাণে বিষ্ণুর একাধিক রূপের কথা উল্লেখ আছে ৷ প্রতিক্ষেত্রেই উল্লেখ আছে শঙ্খের কথা ৷ প্রতিবারই নেতিবাচক শক্তির বিরুদ্ধে বেজে উঠেছে সেই শাঁখ ৷ এটি বিষ্ণুর পবিত্র প্রতীক ৷ সনাতন ভারতের অন্যতম মঙ্গলচিহ্ন শঙ্খ বা শাঁখ। বৈদিক যুগ থেকে আজ পর্যন্ত ভারতীয় হিন্দুগৃহে শাঁখের অবস্থিতি অবিচল। শঙ্খ ভগবান বিষ্ণুর চিহ্ন। তাই শঙ্খও পূজনীয়। তা ছাড়া প্রাচীন কালে যুদ্ধ আরম্ভ হতো শাঁখ বাজিয়ে, এ কথা ‘মহাভারত’-এও উল্লিখিত। আজও ভূমিকম্প ঘটলে, বা কোনও দুর্যোগ ঘটলে শাঁখের আওয়াজ ভেসে আসে প্রায় প্রতিটি পরিবার থেকে। আবার বিবাহাদি শুভকাজেও শঙ্খধ্বনি অপরিহার্য। বৌদ্ধধর্মেও শঙ্খ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সদাব্যস্ত শহুরে জীবনে শাঁখ এখন ঘরের কোণে স্থান পাওয়া একটা সামগ্রী মাত্র ৷ প্রতিদিনের তাড়াহুড়োয় সন্ধ্যাপ্রদীপ দেওয়ার সময় হয় না, তায় আবার শঙ্খধ্বনি ৷ শুধু পুজোতেই নিয়মমাফিক শাঁখের উপস্থিতি দেখা যায় ৷ তারপর আবার তা হারিয়ে যায় ৷ কিন্তু বাস্তশাস...