সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

শ্রীমদ্ভাগবদগীতা লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

গীতা-মাহাত্ম্য

ওঁ নমো ভগবতে বাসুদেবায় শৌনক উবাচ গীতায়াশ্চৈব মাহাত্মং য্থাবৎ সূত মে বদ৷ পুরা নারায়্ণ ক্ষেত্রে ব্যাসেন মুনিনোদিতম্ ॥১॥ অর্থ: শৌনক ঋষি বললেন, হে সূত, পুরাকালে নারায়্ণ ক্ষেত্রে মহামুনি ব্যাস-কথিত গীতামাহাত্ম্য আমাকে বলুন৷ সূত উবাচ ভদ্রং ভগবতা পৃষ্টং যদ্ধি গুপ্ত তমং পরম্৷ শক্যতে কেন তদ্বক্তুং গীতামাহাত্ম্যমুত্তমম্ ॥২॥ অর্থ: সূত গোস্বামী বললেন, হে ভগবন্, আপনি উত্তম জিজ্ঞাসা করেছেন৷ যা পরম গোপনীয়্তম সেই উত্তম গীতামাহাত্ম্য কে বলতে সমর্থ ? কৃষ্ণো জানাতি বৈ সম্যক্ কিঞ্চিৎ কুন্তীসুতঃ ফলম্ ৷ ব্যাসো বা ব্যাসপুত্রো যা যাজ্ঞবল্ক্যোহ্থমৈথিলঃ ॥৩॥ অর্থ: শ্রীকৃষ্ণই তা সম্যকভাবে জানেন৷ কুন্তীপুত্র অর্জুন তার কিঞ্চিৎ ফল জানেন৷ আর ব্যাসদেব, শুকদেব, যাজ্ঞবল্ক্য ও রাজর্ষি জনক তাঁরাও কিছু কিছু জ্ঞাত আছেন৷ অন্যে শ্রবণতঃ শ্রুত্বা লেশং সংকীর্তয়ন্তি চ৷ তস্মাৎ কিঞ্চিদ্ বদাম্যত্র ব্যাসস্যাস্যান্ময়া শ্রুতম্ ॥৪॥ অর্থ: এছাড়া অন্যেরা পরম্পরা ধারায় শ্রবণ করে তার লেশ মাত্র কীর্তন করে থাকেন৷ আমি ব্যাসদেবের কাছে যেভাবে শ্রবণ করেছি তারই কিঞ্চিৎ এখানে বলছি ৷ সর্বোপনিষদো গাবো দোগ্ধা গোপালনন্দনঃ৷ পার্থো বৎসঃ সুধী...

অষ্টাদশ অধ্যায় - মোক্ষযোগ [সংস্কৃত ও বঙ্গানুবাদ]

অষ্টাদশ অধ্যায় মোক্ষযোগ অর্জুন উবাচ সন্ন্যাসস্য মহাবাহো তত্ত্বমিচ্ছামি বেদিতুম্। ত্যাগস্য চ হৃষীকেশ পৃথক্কেশিনিসূদন।।১।। অনুবাদঃ অর্জুন বললেন- হে মহাবাহো! হে হৃষীকেশ! হে কেশিনিসূদন! আমি সন্ন্যাস ও ত্যাগের তত্ত্ব পৃথকভাবে জানতে ইচ্ছা করি। শ্রীভগবানুবাচ কাম্যানাং কর্মণাং ন্যাসং সন্ন্যাসং কবয়ো বিদুঃ। সর্বকর্মফলত্যাগং প্রাহুস্ত্যাগং বিচক্ষণাঃ।।২।। অনুবাদঃ পরমেশ্বর ভগবান বললেন-পন্ডিতগণ কাম্য কর্মসমূহের ত্যাগকে সন্নাস বলে জানেন এবং বিচক্ষণ ব্যাক্তিগণ সমস্ত কর্মফল ত্যাগকে ত্যাগ বলে থাকেন। ত্যাজ্যং দোষবদিত্যেকে কর্ম প্রাহুর্মনীষিণঃ। যজ্ঞদানতপঃকর্ম ন ত্যাজ্যমিতি চাপরে।।৩।। অনুবাদঃ এক শ্রেণীর মনীষীগণ বলেন যে, কর্ম দোষযুক্ত,সেই হেতু তা পরিত্যজ্য। অপর এক শ্রেণীর পন্ডিত যজ্ঞ, দান, তপস্যা প্রভৃতি কর্মকে অত্যাজ্য বলে সিদ্ধান্ত করেছেন। নিশ্চয়ং শৃণু মে তত্র ত্যাগে ভরতসত্তম। ত্যাগো হি পুরুষব্যাঘ্র ত্রিবিধঃ সংপ্রকীর্তিতঃ।।৪।। অনুবাদঃ হে ভরতসত্তম! ত্যাগ সম্বন্ধে আমার নিশ্চয় সিদ্ধান্ত শ্রবণ কর। হে পুরুষব্যাঘ্র! শাস্ত্রে ত্যাগও তিন প্রকার বলে কীর্তিত হয়েছে। যজ্ঞদানতপঃকর্ম ন ত্যাজ্যং কার্যমেব তৎ। যজ্ঞো দ...

সপ্তদশ অধ্যায় - শ্রদ্ধাত্রয়-বিভাগ-যোগ [সংস্কৃত ও বঙ্গানুবাদ]

সপ্তদশ অধ্যায় শ্রদ্ধাত্রয়-বিভাগ-যোগ অর্জুন উবাচ যে শাস্ত্রবিধিমুৎসৃজ্য যজন্তে শ্রদ্ধয়ান্বিতাঃ।  তেষাং নিষ্ঠা তু কা কৃষ্ণ সত্ত্বমাহো রজস্তমঃ।।১।। অনুবাদঃ  অর্জুন জিজ্ঞাসা করলেন- হে কৃষ্ণ! যারা শাস্ত্রীয় বিধান পরিত্যাগ করে শ্রদ্ধা সহকারে দেব-দেবীর পূজা করে, তাদের সেই নিষ্ঠা কি সাত্ত্বিক, রাজসিক না তামসিক?।

ষোড়শ অধ্যায় - দৈবাসুর-সম্পদ-বিভাগযোগ [সংস্কৃত ও বঙ্গানুবাদ]

ষোড়শ অধ্যায় দৈবাসুর-সম্পদ-বিভাগযোগ শ্রীভগবানুবাচ অভয়ং সত্ত্বসংশুদ্ধির্জ্ঞানযোগব্যবস্থিতিঃ। দানং দমশ্চ যজ্ঞশ্চ স্বাধ্যায়স্তপ আর্জবম্।।১।। অহিংসা সত্যমক্রোধস্ত্যাগঃ শান্তিরপৈশুনম্। দয়া ভূতেষ্বলোলুপ্ত্বং মার্দবং হ্রীরচাপলম্।।২।। তেজঃ ক্ষমা ধৃতিঃ শৈৗচমদ্রোহো নাতিমানিতা। ভবন্তি সম্পদং দৈবীমভিজাতস্য ভারত।।৩।। অনুবাদঃ পরমেশ্বর ভগবান বললেন-হে ভারত! ভয়শূন্যতা, সত্তার পবিত্রতা, পারমার্থিক জ্ঞানের অনুশীলন, দান, আত্মসংযম, যজ্ঞ অনুষ্ঠান, বৈদিক শাস্ত্র অধ্যয়ন, তপশ্চর্যা, সরলতা, অহিংসা, সত্যবাদিতা, ক্রোধশূন্যতা, বৈরাগ্য, শান্তি, অন্যের দোষ দর্শন না করা, সমস্ত জীবে দয়া, লোভহীনতা, মৃদুতা, লজ্জা, অপচলতা, তেজ, ক্ষমা, ধৈর্য, শৌচ, মাৎসর্য শূন্যতা, অভিমান শূন্যতা- এই সমস্ত গুণগুলি দিব্যভাব সমন্বিত ব্যক্তিদের মধ্যে দেখা যায়।

পঞ্চদশ অধ্যায় - পুরুষোত্তমযোগ [সংস্কৃত ও বঙ্গানুবাদ]

১৫ শ অধ্যায় পুরুষোত্তমযোগ শ্রীভগবানুবাচ ঊর্ধ্বমূলমধঃশাখমশ্বত্থং প্রাহুঃরব্যয়ম্ । ছন্দাংসি যস্য পর্ণানি যস্তং বেদ স বেদবিৎ ॥১॥ অনুবাদঃ পরমেশ্বর ভগবান বললেন- ঊর্ধমূল ও অধঃশাখা-বিশিষ্ট একটি অব্যয় অশ্বত্থ বৃক্ষের কথা বলা হয়েছে৷ বৈদিক মন্ত্রসমূহ সেই বৃক্ষের পত্রস্বরুপ। যিনি সেই বৃক্ষটিকে জানেন, তিনিই বেদজ্ঞ । অধশ্চোর্ধ্বং প্রসৃতাস্তস্য শাখা গুণপ্রবৃদ্ধা বিষয়প্রবালাঃ । অধশ্চ মূলান্যনুসন্ততানি কর্মানুবন্ধীনি মনুষ্যলোকে ॥২॥ অনুবাদঃ এই বৃক্ষের শাখাসমূহ জড়া প্রকৃতির তিনটি গুণের দ্বারা পুষ্ট হয়ে অধোদেশে ও ঊর্ধ্বদেশে বিস্তৃ্ত। ইন্দ্রিয়ের বিষয়সমূহই এই শাখাগণের পল্লব। এই বৃক্ষের মূলগুলি অধোদেশে প্রসারিত এবং সেগুলি মনুষ্যলোকে সকাম কর্মের বন্ধনে আবদ্ধ। ন রূপমস্যেহ তথোপলভ্যতে নান্তো ন চাদির্ন চ সংপ্রতিষ্ঠা । অশ্বত্থমেনং সুবিরূঢ়মূলম্ অসঙ্গশস্ত্রেণ দৃঢ়েন ছিত্ত্বা ॥৩॥ ততঃ পদং তৎপরিমার্গিতব্যং যস্মিন্ গতা ন নিবর্তন্তি ভুয়ঃ । তমেব চাদ্যং পুরুষং প্রপদ্যে যতঃ প্রবৃত্তিঃ প্রসৃতা পুরাণী ॥৪॥ অনুবাদ (৩-৪) : এই বৃক্ষের স্বরূপ এই জগতে উপলব্ধ হয় না। এর আদি, অন্ত ও স্থিতি যে কোথায় তা কেউই বুঝতে পারে ন...