সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

চতুর্দশ অধ্যায় - গুণত্রয়বিভাগযোগ [সংস্কৃত ও বঙ্গানুবদ]

১৪শ অধ্যায় গুণত্রয়বিভাগযোগ শ্রীভগবানুবাচ পরং ভূয়ঃ প্রবক্ষ্যামি জ্ঞানানাং জ্ঞানমুত্তমম্। যজ্ জ্ঞাত্বা মুনয়ঃ সর্বে পরাং সিদ্ধিমিতো গতাঃ॥১॥ অনুবাদঃ পরমেশ্বর ভগবান বললেন- পুনরায় আমি তোমাকে সমস্ত জ্ঞানের মধ্যে সর্বোত্তম জ্ঞান সম্বন্ধে বলব, যা জেনে মুনিগণ এই জড় জগৎ থেকে পরম সিদ্ধি লাভ করেছিলেন।

ত্রয়োদশ অধ্যায় - ক্ষেত্রক্ষেত্রজ্ঞবিভাগযোগ [সংস্কৃত ও বঙ্গানুবাদ]

ত্রয়োদশ অধ্যায় ক্ষেত্রক্ষেত্রজ্ঞবিভাগযোগ অর্জুন উবাচ প্রকৃতিং পুরুষং চৈব ক্ষেত্রং ক্ষেত্রজ্ঞমেব চ । এতদ্ বেদিতু্মিচ্ছামি জ্ঞানং জ্ঞেয়ং চ কেশব ॥১॥ অনুবাদঃ অর্জুন বলিলেন- হে কেশব! আমি প্রকৃতি, পুরুষ, ক্ষেত্র, ক্ষেত্রজ্ঞ, জ্ঞান ও জ্ঞেয়- এই সমস্ত তত্ত্ব জানতে ইচ্ছা করি। শ্রীভগবানুবাচ ইদং শরীরং কৌন্তেয় ক্ষেত্রমিত্যভিধীয়তে । এতদ্ যো বেত্তি তং প্রাহুঃ ক্ষেত্রজ্ঞ ইতি তদ্বিদঃ ॥২॥ অনুবাদঃ পরমেশ্বর ভগবান বললেন- হে কৌন্তেয় ! এই শরীর ক্ষেত্র নামে অভিহিত এবং যিনি এই শরীরকে জানেন, তাঁকে ক্ষেত্রজ্ঞ বলা হয়। ক্ষেত্রজ্ঞং চাপি মাং বিদ্ধি সর্বক্ষেত্রেষু ভারত । ক্ষেত্রক্ষেত্রজ্ঞয়োর্জ্ঞানং যত্তজ্ জ্ঞানং মতং মম ॥৩॥ অনুবাদঃ হে ভারত ! আমাকেই সমস্ত ক্ষেত্রের ক্ষেত্রজ্ঞ বলে জানবে এবং ক্ষেত্র ও ক্ষেত্রজ্ঞ সম্বন্ধে যে জ্ঞান, সেই জ্ঞানই আমার অভিমত। তৎ ক্ষেত্রং যচ্চ যাদৃক্ চ যদ্বিকারি যতশ্চ যৎ । স চ যো যৎপ্রভাবশ্চ তৎ সমাসেন মে শৃণু ॥৪॥ অনুবাদঃ সেই ক্ষেত্র কি, তার কি প্রকার, তার বিকার কি, তা কার থেকে উৎপন্ন হয়েছে, সেই ক্ষেত্রজ্ঞের স্বরূপ কি এবং তার প্রভাব কি, সেই সব সংক্ষেপে আমার কাছে শ্রবণ কর। ঋষিভির্বহু...

দ্বাদশ অধ্যায় - ভক্তিযোগ [সংস্কৃত ও বঙ্গানুবাদ]

দ্বাদশ অধ্যায় ভক্তিযোগ অর্জুন উবাচ এবং সততযুক্তা যে ভক্তাস্ত্বাং পর্যুপাসতে । যে চপ্যক্ষরমব্যক্তং তেষাং কে যোগবিত্তমাঃ ॥১॥ অনুবাদঃ অর্জুন জিজ্ঞাসা করলেন- এভাবেই নিরন্তর ভক্তিযুক্ত হয়ে যে সমস্ত ভক্তেরা য্থায্থভাবে তোমার আরাধনা করেন এবং যাঁরা ইন্দ্রিয়াতীত অব্যক্ত ব্রহ্মের উপাসনা করেন, তাঁদের মধ্যে কারা শ্রেষ্ঠ যোগী।

একাদশ অধ্যায় - বিশ্বরূপদর্শনযোগ [সংস্কৃত ও বঙ্গানুবাদ]

একাদশ অধ্যায় বিশ্বরূপদর্শনযোগ অর্জুন উবাচ মদনুগ্রহায় পরমং গুহ্যমধ্যাত্মসংজ্ঞিতম্ । যত্ত্বয়োক্তং বচস্তেন মোহোহয়ং বিগতো মম ॥১॥ অনুবাদঃ অর্জুন বললেন- আমার প্রতি অনুগ্রহ করে তুমি যে অধ্যাত্মতত্ত্ব সম্বন্ধীয় পরম গুহ্য উপদেশ আমাকে দিয়েছ, তার দ্বারা আমার এই মোহ দূর হয়েছে।

দশম অধ্যায় - বিভূতিযোগ [সংস্কৃত ও বঙ্গানুবাদ]

দশম অধ্যায় বিভূতিযোগ শ্রীভগবান্ উবাচ ভূয় এব মহাবাহো শৃণু মে পরমং বচঃ । যত্তেহহং প্রীয়মাণায় বক্ষ্যামি হিতকাম্যয়া ॥১॥ অনুবাদঃ পরমেশ্বর ভগবান বললেন- হে মহাবাহো ! পুনরায় শ্রবণ কর৷ যেহেতু তুমি আমার প্রিয় পাত্র, তাই তেমার হিতকামনায় আমি পূর্বে যা বলেছি, তার থেকেও উৎকৃষ্ট তত্ত্ব বলছি ।

নবম অধ্যায় - রাজবিদ্যারাজগুহ্যযোগ [সংস্কৃত ও বঙ্গানুবাদ]

নবম অধ্যায় রাজবিদ্যারাজগুহ্যযোগ শ্রীভগবানুবাচ ইদং তু তে গুহ্যতমং প্রবক্ষ্যাম্যনসূয়বে । জ্ঞানং বিজ্ঞানসহিতং যজ্ জ্ঞাত্বা মোক্ষ্যসেহশুভাৎ ॥১॥ অনুবাদঃ পরমেশ্বর ভগবান বললেন- হে অর্জুন ! তুমি নির্মৎসর বলে তোমাকে আমি পরম বিজ্ঞান সমন্বিত সবচেয়ে গোপনীয় জ্ঞান উপদেশ করছি ৷ সেই জ্ঞান প্রাপ্ত হয়ে তুমি দুঃখময় সংসার বন্ধন থেকে মুক্ত হও।

অষ্টম অধ্যায় - অক্ষরব্রহ্মযোগ [সংস্কৃত ও বঙ্গানুবাদ]

অষ্টম অধ্যায়  অক্ষরব্রহ্মযোগ অর্জুন উবাচ কিং তদ্ ব্রহ্ম কিমধ্যাত্মং কিং কর্ম পুরুষোত্তম । অধিভূতং চ কিং প্রোক্তমধিদৈবং কিমুচ্যতে ॥১॥ অনুবাদঃ অর্জুন জিজ্ঞাসা করলেন- হে পুরুষোত্তম ! ব্রহ্ম কি ? অধ্যাত্ম কি ? কর্ম কি ? অধিভূত ও অধিদৈবই বা কাকে বলে? অনুগ্রহপূর্বক আমাকে স্পষ্ট করে বল।